ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ও এক আসনের বিপরীতে যাত্রীদের ৬ টিকেট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ চলাচলকারী মহুয়া কমিউটার ট্রেনে কালোবাজারির মাধ্যমে প্রতি টিকেট ১০৫ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে থাকা মহুয়া কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারে অভিযান চালায় প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট এম.এ কাদের এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁর সঙ্গে ছিলেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ট্রেনের টিকেট মাস্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ চলাচলকারী মহুয়া কমিউটার ট্রেনে ঢাকাগামী যাত্রীদেরকে একটি আসনের জন্য ৬ টি টিকেট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। ট্রেনে মোহনগঞ্জের জন্য বরাদ্দ ২০০ সিটের মধ্যে ৩০ টি এভাবে বিক্রি করা হয়। বাকিগুলো কালোবাজারে বাইরে ছেড়ে দেয় কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা। বাইরে ট্রেনের প্রতি টিকেট কালোবাজারির মাধ্যমে ১০৫ টাকার টিকেট ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। পরে অভিযানে সত্যতা পেয়ে কাউন্টার মাস্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের খবরে শনিবার বিকেলে পৌরশহরের বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় একটি সিএনজির মালিককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি বাসের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের যথাযথ নিয়মে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতে বলা হয়। অভিযানের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট এম এ কাদের বলেন, ২০০ টিকিটের মধ্যে ৩০টি টিকেট মাত্র কাউন্টার থেকে বিক্রি করেছে। বাকিগুলো কালোবাজারে ছেড়ে দিয়েছে, সেগুলো একেকটি টিকেট ৬০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছিল। যদিও এমনিতে প্রতি টিকেটের দাম ১০৫ টাকা। এদিকে কাউন্টার থেকে একটি আসনের জন্য ৬টি টিকেট কিনতে যাত্রীদের বাধ্য করা হচ্ছিল। এসবের সত্যতা পেয়ে কাউন্টারের মাস্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এমন কাজ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জরিমানার পাশাপাশি সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। যাত্রীদেরও ভাড়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।