মুক্তাগাছার অবহেলিত অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম খেরুয়াজানি ইউনিয়নের বন্দগোয়ালিয়া এলাকার (৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। খননের পর আয়মন নদীর প্রস্থ বাড়ায় দুই পাড়ের প্রায় ৭টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬০০ স্কুল, মাদ্রাসা ও হাই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতি সরু বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছে। নদী পারাপারে মৃত্যুঝুঁকি এতটাই প্রকট যে, কেউ মারা গেলে লাশ ভেলাতে করে নদী পার করতে হয়। এর মধ্যেও নদীতে লাশ পড়ে যাওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে।
এই সংকটময় বাঁশের সাঁকো ও কাঁচা রাস্তা দিয়ে অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী নারী এবং কৃষকদের কৃষিপণ্য পার করা হয়ে উঠেছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
বর্ষাকালে রাস্তার একপাশ নিচু হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, ফলে এলাকাবাসী পড়েন চরম ভোগান্তিতে। পানির ভারসাম্য রক্ষায় দ্রুত কালভার্ট নির্মাণ প্রয়োজন। এলাকাবাসীর প্রধান ৩টি দাবি আয়মন নদীর ওপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ , ,মসজিদের সামনে একটি বক্স কালভার্ট ,প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)-এর মুখপাত্র এবং মুক্তাগাছার মাটি ও মানুষের নেতা ডা. মাকামে মাহমুদ সম্প্রতি সরেজমিনে ওই এলাকায় যান, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও দাবিগুলো সরাসরি শোনেন।
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. আরিফুল ইসলাম ,পারভেজ সুইট ,জামিল আহমেদ তুহিন ,নূর মোহাম্মদ , আরিফ খান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
এই অঞ্চলটি ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা থানার সংযোগস্থল, অর্থাৎ এলাকার গুরুত্ব কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনও সেখানে নেই কোনো পাকা রাস্তা বা সেতু।
ডা. মাকামে মাহমুদের এই আন্তরিক পরিদর্শন ও মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রমাণ করে, তিনি সত্যিই মুক্তাগাছাকে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তার কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।